ক্রীড়া ডেস্ক ॥ করোনাভাইরাসের কারণে জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখে জাপানের প্রায় শ-খানেক শহরকে অলিম্পিক দলগুলোকে স্বাগত জানানোর ব্যাপারে নতুন করে চিন্তা করতে হচ্ছে। দিনের পর দিন এই করোনার সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে গেমসের ব্যয়ও কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় কিছু শহরে সুরক্ষা নিশ্চিত করার ব্যয় নির্বাহ করতে হিমশিম খাচ্ছে জাপান। জাপানের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর ওকুইজুমো প্রাক-গেমস অনুশীলন ক্যাম্পের জন্য ভারতীয় হকি দলকে স্বাগত জানাতে ইতিমধ্যেই ৫ মিলিয়ন ডলারের বেশি ব্যয় করে ফেলেছে। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে তারা এখন আর এই শহরে অনুশীলন ক্যাম্প চালাতে পারছে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। ওকুইজুমোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল গেমসের কভিড প্রটোকল অনুযায়ী খেলোয়াড়দের জন্য জৈব সুরক্ষা বলয় ও নিয়মিত ভাইরাস পরীক্ষা ও মেডিক্যাল কেয়ারের বিষয়টি নিশ্চিত করতে। টাউন অফিশিয়াল কাতসুমি নাগাসে বার্ত সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘আমরা চেয়েছিলাম বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ একটি দল আমাদের ছোট এই শহরটি পরিদর্শন করবে ও এখানকার স্থানীয় বাচ্চাদের তাদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানাবে। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে পুরো বিষয়টি প্রায় অসম্ভব।’ টোকিও গেমসে এবার জাপানের ৫০০-এরও বেশি মিউনিসিপালিটি অ্যাথলেট ও অফিশিয়ালদের স্বাগত জানাতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। আয়োজক জাপানের লক্ষ্য ছিল শুধু গেমস আয়োজনই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা শীর্ষ পর্যায়ের ক্রীড়াবিদরা যাতে জাপানের বিভিন্ন শহরে ঘুরে তাদের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে নিতে পারে ও এতে কিছুটা হলেও স্থানীয় তরুণরা উপকৃত হয়। ইতিমধ্যেই করোনার কারণে এই পরিকল্পনা থেকে ওকুইজুমোর নাম প্রত্যাহারে পুরো বিষয়টি নিয়ে এখন শঙ্কা দেখা দিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকান হকি দলকে আতিথ্য দেওয়ার কথা ছিল উত্তরাঞ্চলীয় শহর কুরিহারার। কিন্তু ভাইরাস নিয়ে হিমশিম খাওয়া ছোট এই শহর এখন সেই ব্যয় মেটাতে পারবে কি না তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা রয়েছে। এর আগে অবশ্য অলিম্পিকে অংশ নেওয়া বেশ কিছু দল জাপানের বিভিন্ন শহরে গেমস পূর্ববর্তী অনুশীলন পরিকল্পনা বাদ দিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ান সাঁতারুদল নাগায়োকা শহরে অনুশীলন করছে না বলে শহরটির মেয়র মার্চ মাসেই নিশ্চিত করেছিলেন। এ ছাড়া কানাডার টেবিল টেনিস দল নাগানোর ওকায়া শহরে অনুশীলন করতে আসবে না।
Leave a Reply